• Warning: Undefined property: WP_Error::$cat_ID in /home/shobujalo/public_html/wp-content/themes/jugantor/single.php on line 70
    Uncategorized

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

      সবুজ আলো অনলাইন 8 January 2023 , 11:36:47

    ঘনকুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বিপাকে শিশু ও বৃদ্ধারা। হাসপাতালেও শীতজনিত শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

    গত একমাসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১০ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার অধিকাংশই শীতজনিত শারীরিক জটিলতায় মারা গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    তীব্র শীতের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে ডিসেম্বরেই। হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। যার একটি বড় অংশই শীতজনিত শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

    গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার (৭ জানুয়ারি) রামেক হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু বিভাগে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি। একই বেডে দু’তিন জন কখনো কখনো চারজন করেও শিশু রাখা হচ্ছে। মেডিসিন ওয়ার্ডেও রোগীর চাপ প্রচুর। বেড না পেয়ে বারান্দাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

    শিশু ওয়ার্ডে শীতে রোগীদের কথা বিবেচনা করে ওয়ার্ডগুলোতে রুম হিটার এবং বাতাস প্রতিরোধে বাইরের খোলা বারান্দায় পর্দা দিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিবুলাইজারসহ প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, এই শীতে বাচ্চা ও বয়স্কদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন না থাকলে বেলা ১০টার আগে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। বের হলেও নাক, কান ও গলার জন্যও শীতবস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার, গরম পানি খেতে হবে ও ব্যবহার করতে হবে। ঠান্ডা খাবার ও খেজুরের রস না খাওয়াই উত্তম। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট ও কোল্ড এলার্জির সমস্যা আছে তাদের বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, এখন অন্যান্য সাধারণ রোগীর সংখ্যা কম। কিন্তু শীতজনিত শারীরিক জটিলতা নিয়ে আগত রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে গড়ে মোট রোগীর সংখ্যা তেমন একটা বাড়ে নি। আর হাসপাতালে বেড না পাওয়ার সমস্যা নতুন না। আগে থেকেই শিশু ওয়ার্ডের একটি বেডে দেখা যায়, দুই এর বেশি শিশু রাখতে হয়। তবে সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।