খেলাধুলা

অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক আর্জেন্টিনা

  নিউজ ডেস্ক ১৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৬:২২:১২

ছবি : সংগৃহীত

বাছাইপর্বের গণ্ডি পার হতে না পারলেও অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছে আর্জেন্টিনা। ইন্দোনেশিয়ার জায়গায় যুব বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে লাতিন আমেরিকার দেশটিকে বেছে নিয়েছে ফিফা।  

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক  সংস্থা সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

আগামী ২০ মে থেকে ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হওয়ার কথা ছিল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপের। কিন্তু দেশটিতে অংশগ্রহণে বেশ কিছু অস্থিরতা দেখা দেয়। এই কারণে ইন্দোনেশিয়া থেকে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ সরিয়ে দেওয়ার কথা জানায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

এর পরপরই এই টুর্নামেন্ট এককভাবে আয়োজনের জন্য আবেদন করে আসরে বাছাইপর্বের গণ্ডি পার হতে না পারা আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) আয়োজক হিসেবে লাতিন আমেরিকার দেশটিরই নাম ঘোষণা করেছে ফিফা। তাই শেষ পর্যন্ত আকাশি-নীল জার্সিধারীরা স্বাগতিক দেশ হিসেবেই যুব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।

এক বিবৃতিতে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে এই বছরের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবল বিশ্বের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ভবিষ্যতের সুপারস্টারদের জন্য তাদের দুয়ার খুলে দিয়েছে।

ফিফা প্রেসিডেন্ট জানান, আমি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এবং বিশেষ করে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ক্লাদিও তাপিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সেই সঙ্গে সরকারি কর্তৃপক্ষকেও, এত অল্প সময়ের নোটিশে এই দুর্দান্ত টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য।

এদিকে এই টুর্নামেন্টে অন্যতম সফল দল আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত ছয়বার অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে লে আলবিসেলেস্তেদের যুবারা। সবশেষ ২০০৭ সালেও শিরোপার স্বাদ নিয়েছে দলটি।

আগামী ২০ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত চলবে এবারের আসর। এর আগে, ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

এই টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডর মূল পর্বে উঠেছে।

উল্লেখ্য, বালি দ্বীপের গভর্নর ইসরায়েল দলকে আয়োজক করতে অস্বীকার করার কারণে দেশটির সকার ফেডারেশন (পিএসএসআই) ড্র বাতিল করার পরে ফিফা ইন্দোনেশিয়াকে ইভেন্টের আয়োজন করা থেকে বিরত রাখে।

এর আগে ২০০১ সালের আসরের আয়োজক ছিল আর্জেন্টিনা। সেবার নিজেদের রেকর্ড ছয় শিরোপার চতুর্থটি জেতে তারা।