জাতীয়

আজমতকে হারিয়ে গাজীপুরের নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন

  নিউজ ডেস্ক ২৬ মে ২০২৩ , ৬:৪৩:৩৩

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম নারী মেয়র পেলো গাজীপুর। জায়েদা খাতুন সাবেক বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।

টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে আজমত উল্লাকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে গাজীপুর জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ফল ঘোষণা করেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এছাড়া ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। সবমিলিয়ে ৩৩১ জন ছিলেন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফয়সাল আহমেদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন।

২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন সিটির প্রথম মেয়র হন এম. এ. মান্নান। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র হন জাহাঙ্গীর আলম। মেয়াদ শেষের আগেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।