মতামত

‘চাটমোহর ডায়াবেটিক সমিতি’ – একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ

  কে, এম, বেলাল হোসেন স্বপন ১২ ডিসেম্বর ২০২২ , ৭:৩০:৩৮

প্রায় ২ বছর হলো ‘চাটমোহর ডায়াবেটিক সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার সাহেবের প্রত্যক্ষ প্রচেস্টায় এবং চাটমোহরের আলোকিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. কমল কৃষ্ণ কুন্ডু, মেজর জেনারেল (অব:) ফসিউর রহমান, প্রকৌশলী যতি দাস কুন্ডু চৌয়েন, ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক সহ যাদের অনেকের অর্থনৈতিক অবদান রয়েছে এই হাসপাতাল নির্মাণে।
‘চাটমোহর ডায়াবেটিক সমিতি’ স্বল্প সময়ের মধ্যে ডায়াবেটিক চিকিৎসায় আশানুরূপ সারা ফেলতে সক্ষম হয়েছে। ‘চাটমোহর ডায়াবেটিক সমিতি’ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি ছিলো একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ বটে। ‘চাটমোহর ডায়াবেটিক সমিতি’ ইতোমধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাভ এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অধিভূক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্ভূল ফলাফল এবং আন্তরিক সেবায় চিকিৎসা সেবা গ্রহণে আগত রোগীরা অত্যন্ত আনন্দিত।
‘চাটমোহর ডায়াবেটিক সমিতি’ শুধু চাটমোহর উপজেলা নয়। পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, তাড়াশ উপজেলা তথা চলনবিলাঞ্চলের ডায়াবেটিস রোগাক্রান্তদের আর কষ্ট করে জেলা সদরের ছুটতে হচ্ছেনা। এতে করে মানুষের অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি সময় এবং ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে।
ডায়াবেটিস একটি ঘাতক রোগ। এ রোগে সরাসরি মানুষের মৃত্যু সংঘটিত না হলেও নিয়ন্ত্রণহীন হলেই অন্যান্য রোগ-ব্যাধি মানব সমাজে বাসাবাঁধার ফলে মানুষের আয়ুক্ষয় হয়ে থাকে। অথচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডায়াবেটিস কোনো রোগই নয়। বিশ্বে যে গতিতে মানুষের মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগ ধারিত হচ্ছে, এতে করে সকল মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস শঙ্কা সর্বদা বিরাজিত। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে খাদ্যাভ্যাস এবং পায়ে হাঁটাচলা বা কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
গত ১৪ নভেম্বর সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস/২২। দিবসটির এবারের শ্লোগান ছিল “আগামীতে নিজেকে সুরক্ষায় ডায়াবেটিসকে জানুন”। অর্থাৎ প্রতিপাদ্যে ডায়াবেটিস রোগকে গুরুত্ব দিয়ে এই রোগ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সকলের মনেরাখা প্রয়োজন যে, ডায়াবেটিস একম একটি রোগ, যেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু নির্মূল করা অসম্ভব।
স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এটি একটি বড় মহিরুহে পরিণত হবে। উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাকালিন সহযোগীদের সকলেই পর্যায়ক্রমে পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেয়ার পরেও মানব কল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে আমরা সে প্রত্যাশা করি।
(লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, সাপ্তাহিক সময় অসময়)