কৃষি

তাড়াশে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ

  আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) ২৭ মার্চ ২০২৩ , ২:১৯:৩৩

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারিভাবে কৃষককে বিনামূল্যে ভুট্টার বীজ ও সার বিতরণ করার ফলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্বার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এছাড়া চলতি রবি মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ভুট্টার আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে। উপজেলা জুড়ে এখন শুধু ভুট্টার উঠতি গাছ শোভা পাচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় কৃষকরাও অধীর আগ্রহে জমিতে কাজ করছেন। আর মাত্র ১০/১৫দিনের মধ্যে কৃষকেরা ভুট্রা ঘরে তুলবেন। বেশি ফলন আর বেশি দাম পাবার আশায় কৃষকেরা স্বপ্ন বুনছেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে কৃষি বিভাগের ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ২২৫ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে ১হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২শত হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে।

কৃষক আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, গত বছর বাজারে ভুট্টার দাম বেশি থাকায় অধিক লাভবান হয়েছেন। এ কারণে প্রণোদনা কর্মসূচির বাইরেও অনেক কৃষক তাদের জমিতে এ মৌসুমে ভুট্টার আবাদ করেছেন। এছাড়াও ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি ও ফলন ভালো করতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ। কম পরিশ্রম ও কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় ভুট্টাচাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা যায়, ভুট্টা গো-খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হয়। তাছাড়া পোল্ট্রি শিল্পের জন্যও ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ভুট্রা মাড়াইয়ের পর জ্বালানী হিসেবেও কাজ করে। এক বিঘা জমিতে ভুট্টা হয় ৪০ থেকে ৫০ মণ। বিঘা প্রতি আট থেকে দশ হাজার টাকা খরচ করে চাষিরা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারেন। চলতি রবি মৌসুমে জমিতে ফলনের আকৃতি ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। তারা এখন জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরও ২০০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় ভুট্টার রোগ-পোকমাকড় দমন ও অধিক ফলনের জন্য কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।