মতামত

স্মরণ : ‘সহপাঠী বা সমবয়সী নয়, তবু রামানুজ ছিল আমার সমপ্রাণ’

  উত্তম গোস্বামী ১২ ডিসেম্বর ২০২২ , ৭:৪২:৫৬

রামানুজ

স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে চাটমোহরের উত্তর জনপদ হান্ডিয়াল বাজার তথা ইউনিয়ন সংলগ্ন গ্রামগুলো মুক্ত সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। এ সময়ে এসমস্ত অঞ্চলে নাটক ও যাত্রাপালাতে নারীদের ‘নারী’ চরিত্রে অভিনয় করা সহজ সাধ্য ছিল না। তবে পুরুষের নারী চরিত্র রূপায়ন দর্শন করে, লিঙ্গ চিহ্নিত করা অনেকটাই দূরহ্ হয়ে পড়তো। আর এসব দৃশ্যাবলী অবলোকন করে আমার কোমল মনে কী এক দারুন শিহরণ সৃষ্টি করেছিল। হান্ডিয়াল বাজার ভিন্ন বল্লভপুর, হাঁসুপুর ও ডেফলচড়ায় চিত্ত বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল এই যাত্রপালা।

দেশ স্বাধীনের অব্যবহিত পরই হান্ডিয়ালে যাত্রপালাতে নায়িকা তথা নারী চরিত্র রূপায়ণে মেয়েদের অভিনয় দৃশ্যমান হয়। সেই সময়ে বাহির থেকে নায়িকা এনে স্থানীয় কলা কুশলীদের নিয়ে এখানে যে যাত্রাপালা গুলো মঞ্চস্থ হতো তা যেমন চিত্তকর্ষক তেমনি রুচিসম্মত বটে। সিঁদুর নিয়ে খেলা, ধোপার মেয়ে ও সমাজের বলী- এমনই একটি যাত্রপালায় এক অবুঝ বালকের কৌতূহলময় জিজ্ঞাসা- ‘পিসীমা পিসীমা, ভাতার মানে কী’? তখন হান্ডিয়ালে কিশোর বালকের এই সংলাপটি আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবার মুখে মুখে ফিরতো। যে কিশোর এই অভিনয় করেছিল তার নাক, মুখ তরতরে, চোখে-মুখে যথেষ্ট সম্ভাবনার ছাপ, স্বীয় অগ্রজ প্রদত্ত যার প্রকৃত নাম রামানুজ।

ওর দাদা ও ভাতিজার সঙ্গে আমার ছিল ওঠা-বসা ও পড়ালেখা। কিন্তু রামানুজ কবে, কখন আমার সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে জড়িয়ে ছিল- তার দিনক্ষণ, তিথি-নক্ষত্র কিছুই আজ আর মনে নাই। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার সাথে সম্পর্ক স্থাপনে বেশির ভাগ কৃতিত্ব ছিল রামানুজের। এভাবেই ওর দাদা আমার দাদাতে পরিণত হয়েছিল। তবে আমি ওর দাদার কাছে একটু সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছিলাম। এ কথা সত্য যে, রামানুজের দাদার পক্ষ থেকে কখনও কোন বাধার সম্মুখিন হইনি। কিন্তু ওর ভাতিজা মৃদুল শক্ত অবস্থান নিয়েছিল। সে আমাকে প্রশ্ন করেছিল, ‘তুই আমার বন্ধু, তুই কীভাবে আমার ছোট কাকার বন্ধু হলি’? উপায়ান্তর না দেখে আমার সহজ-সরল জবাব ‘তোর কাকাকে জিজ্ঞাস কর’।

এরপর থেকে আমি আর রামানুজ বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের সঙ্গে কেউই সম্পৃক্ত ছিলাম না বলে উভয়ের কাছে রক্ষিত যে অলস সময় ছিল- তা মধুরালাপনে সকাল, সন্ধ্যা ব্যয় হতো। সপ্তাহে একদিন আমার বাড়িতে সানন্দে ও আতিথ্য গ্রহণে কুন্ঠাবোধ করতো না। ততক্ষণে আমার দাদাদের কাছে ও শিষ্ঠ আচরণে ভ্রাতৃত্বের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। সেই সঙ্গে আমার পিতৃদেব-এর কাছে সে হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত স্নেহশীল ও পুত্রবৎ। অন্যদিকে, রামানুজ পিতৃ মাতৃহীন এবং দাদাদের ওপর খানিকটা নির্ভরশীল হওয়ায় ওর আমন্ত্রণ রক্ষা করায় আমি তেমন উৎসাহবোধ করতাম না। কিন্তু প্রতিদিন ওদের পাড়ায় পূর্ব-দক্ষিণে একটি উঁচু জায়গায় সবুজ ঘাসের ওপরে বসে আমাদের দু’জনার অনেক রোমান্টিক আলোচনা ও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে।

রামানুজের চাল-চলন, খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা ও পোষাক-পরিচ্ছদ এ সবকিছুতেই ছিল তার আধুনিকতার ছাপ। স্কুল জীবনে কিছু লেখালেখির চেষ্টা ছিল তার। একটি পাক্ষিকে তার একটি লেখা প্রকাশ হয়েছিল। পরবর্তীতে তার লেখা আর এগোয়নি। তবে চুলের ফ্যাশন পরিশীলিত, কথোপকথন, আঞ্চলিকতাকে সচেতনভাবে বর্জন- সে সময়ে অনেকেকেই দুর্ণিবার আকর্ষণ করেছিল। তার কবি কবি ভাব দেখে আমি একবার লিখেছিলাম- ‘কবি যদি হও তুমি, তবে কবিতা লিখে যাও। লিখবে সাধারণ মানুষকে নিয়ে, কোনো অশ্লীলতা নিয়ে নয়’। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত আমার সাবসিডিয়ারী থাকায় আমি একটু আধটু সংস্কৃত বলতে পারতাম। কবি রামানুজের ঐ রকম ভঙ্গী দেখে আমি ওকে বলতাম, ‘কবিষু রামানুজ শ্রেষ্ঠ’। অর্থাৎ কবিদের মধ্যে রামানুজ সেরা। এ রকম হাস্য-রহস্যে আমরা অনেক মুহূর্ত অতিক্রম করেছি। তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন, বিশেষ করে পরিধানে যে মার্জিত রুচির পরিচয় দিয়েছিল- তা তার সমসাময়িক কালে রামানুজের অগ্রজ ও অনুজদের মধ্যে লক্ষ্যণীয়- যা একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরা যায়।

১৯৮১ সালে রামানুজ যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়- ঠিক তখন থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ওর আর আমার জীবনে ছিল বন্ধুত্বের সোনালী অধ্যায় স্থাপিত হয়েছিল। যে বন্ধুত্বটা ওর সহপাঠিদের ছাপিয়ে ‘অনুজ+উত্তম’ অন্যতম ‘শ্রেষ্ঠ বন্ধু’ হিসেবে দৃশ্যমান হয়। নব্বই এর দশকে হান্ডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শুন্য পদ পূরণে ছাইকোলা থেকে জনাব আফসার আলী (প্রয়াত) হেড মাস্টার হিসেবে নিযুক্ত হলে আমার মাধ্যমে অনুজের সাথে পরিচয় হয় এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আফসার স্যারের সঙ্গে আমার আর অনুজের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় চলে যায়। পাঠকের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি যে, রামানুজের ডাকনাম ছিল ‘অনুজ’। হান্ডিয়াল হাইস্কুলের দক্ষিণ পাশের্^ ‘সাউদিয়া রেস্টুরেন্ট’ নামক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে অনুজের কর্মজীবন শুরু। কিন্তু তাকে এই কর্মের মধ্যে ঢোকানোর ব্যাপারে আমার আর আফসার স্যারের নেপথ্য ভূমিকা ছিল। হান্ডিয়াল বাজারে নরেন কাকার শ্রী দুর্গা মিস্টান্ন ভান্ডারের পর রামানুজের ঐ দোকানটি উপাদেয় মিস্টির দোকান হিসেবে এলাকায় প্রশংসিত ও জনপ্রিয় হয়।

ওর দোকানের পাশে চেয়ারপাতা ফাঁকা জায়গায় হেড মাস্টার সাহেব সহ ছিল আমাদের বন্ধুগণের অড্ডাস্থল। সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতি-ইতিহাস ও সমকালীন প্রেক্ষাপট নিয়ে সেখানে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা হতো। রামানুজ দোকান পরিচালনার ফাঁকতালে উঠে এসে আমাদের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতো। বন্ধুদের মধ্যে করিম, মোস্তফা, শহীদ, রাজ্জাক, জ্যেষ্ঠের মধ্যে সন্তোষ দা, আবুল ভাই, মদন দা, কনিষ্ঠদের মধ্যে আল হেলাল, আব্দুস সামাদ- এইসব আলোকিত মানুষদের মধ্যমণি হয়ে উপস্থিত থাকতেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আফসার আলী হেড মাস্টার। বিকেল হতে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরলে রবীন্দ্র নাথের ভাষায় ‘ভাত ঠান্ডা, গিন্নী গরম’- এহেন অবস্থার মধ্যে অনেককেই পরতে হতো। লেখা বাহুল্য, তবু আমাদের আড্ডা ছিল নিরন্তর। এভাবেই সানন্দে দিন কেটে যেতে পারতো। কিন্তু পরবর্তী কাহিনী বড়ই নির্মম।

ভ্রমণ প্রত্যাশী রামানুজ ২০১৬ খ্রি. ১৬ ডিসেম্বর ইতুলক্ষèী পূজোর দিন সায়াহ্ণে বন্ধুদের সাথে স্ত্রী ও কনিষ্ঠ পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে সেন্টমার্টিন, বান্দববান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করতে রওনা হয় সাতদিনের সময় নিয়ে। বান্দববান ঘুরে তিনদিনের মাঝে সেন্টমার্টিন এলে রামানুজ খানিকটা দলছুট হয়ে যায়। স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রচিত হলে আকস্মাৎ এক গৃহপালিত মহিষ তাকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে পযূর্দস্ত করে ফেলে। মোবাইলের যুগ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ভ্রমণ বিলাসী সকলের কাছে এই দুঃসংবাদটি পৌঁছে যায়। তারা তাৎক্ষণিকভাবে মাইক্রোবাস ভাড়া করে মুমূর্ষূ রামানুজকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। কান্ডারী হিসেবে মাইক্রোর সঙ্গে যায় বন্ধুবর জাহিদুল ইসলাম। এরপর সেখানে তার অপারেশন হয় এবং তাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। সেখানে সে তিনমাস ধরে চিকিৎসা নেয়, তিনমাস পর অনেকটাই জীবনমৃত অবস্থায় গৃহে ফেরে। দানব মহিষের হিং¯্র আক্রমণে ওর কিডনী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক দুঃসংবাদ একবার রটে গিয়েছিল, তবু বেঁচে থাকার জন্য তার আপ্রাণ চেষ্টা। একবার চিকিৎসার জন্য সে কলকাতা পর্যন্ত গিয়েছিল, চলাফেরায় আড়ষ্টভাবের কারণে দোকান নিজ বাড়িতে স্থানান্তরিত করে।

মাঝে মাঝেই সে অসুস্থবোধ করে। ঘাতক মহিষ কর্তৃক তার কিডনী এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে ডায়ালেসিস করা অপরিহার্য হয়ে পরে। কিন্তু দু’বছর করোনাকালীন সময়ে তার চিকিৎসা ব্যাহত হয় এবং চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে যায়। অত:পর ২০২১ এর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর সে হাঁটাচলার শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং শয্যাশায়ী অবস্থায় দিনাতিপাত করে।

রামানুজ ছিল বরাবরই বন্ধুবৎসল কিন্তু জীবনের শেষপ্রান্তে এসে ‘বন্ধু বিহীন জীবন যাপন’ তাকে যথেষ্ট পীড়া দেয়। ক্রমেই তার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে মাঝে মধ্যে আমরা খোঁজ নেওয়া শুভাকাঙ্খী সদ্য প্রয়াত প্রীতিমুগ্ধ ছোট ভাই বহুত আলী আমাকে ফোন করে বলে, ‘রামানুজ হয়তো আর বাঁচবে না, আপনি পারলে একটু দেখে যান’। আমি তৎক্ষনাৎ ২০২১ এর ১৩ সেপ্টেম্বর ওকে দেখতে ওর বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি ঘরে রুগী ব্যতীত কেউ নেই। ঘরে একটি স্বল্প আলো জ¦লছে আর ঘরের ঘাটে নিথর অবস্থায় ও শুয়ে আছে। ডাকলাম নাম ধরে কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই। তারপর ওর উঠানে ঘারাঘুরি করতেই ওর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা। ওর স্ত্রী ঘরে এসে আলো জ্বালালো, ফ্যান দিল। এরপর তাকে ডাক দিলে সে চোখ মেলে তাকালো। আমাকে দেখে ভিষণ কান্না। সেই সঙ্গে ওর স্ত্রী কান্নাযুক্ত হয়ে পরিবেশটা এমন ভারী হয়ে গেল যে, আমার দু’চোখও জলে ভিজে গেল। পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর সেখান থেকে উঠতে চাইলে রামানুজ কিছুতেই আমাকে ছাড়তে চাইছিল না। ও হয়তো বা বুঝতে পেয়েছিল এ দেখাই শেষ দেখা। এগার দিন পর তার জীবন প্রদীপ নিভে যাবার খবর পেলাম।

খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলাম তার বাড়িতে। গিয়ে দেখি ওর স্ত্রীর আর্তনাদে থমথমে পরিবেশ। সুস্থ জীবনে সে একবার আমাকে বলেছিল, ‘উত্তম দেখিস তোর আগেই আমি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব’। সেদিন আমি ওর কথা বিশ্বাস করিনি। জীবদ্দশায় সে এও বলেছিল বৃহস্পতিবার তাদের পরিবারের জন্য একটি ভয়ংকর দিন। কেননা, ওদের পরিবারের জন্য বেশির ভাগ মানুষের পরিণত বয়সের মৃত্যু কিংবা অকাল মৃত্যু অথবা বড় কোন দুর্ঘটনা- এ সবই নাকি সংঘটিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। ওর জীবনেও সেই বৃহস্পতি কাল হয়ে দাঁড়ালো- তাও সে জেনে গেল কি-না জানিনা। তবে গৃহে ওর শবদেহ শায়িত থাকা অবস্থায় এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকা ওর একমাত্র দাদাকে এই কথা বলায় তার দাদার অভিমত- “বৃহস্পতিবার আমাদের শাস্ত্রে লক্ষ্ণীবার। সেজন্য ঐদিন মৃত্যুর মধ্যে হয়তো কোন মঙ্গল নিহিত থাকতে পারে”। কিন্তু আমি বুঝিনা, এই অকাল মৃত্যু অনুজের অপরিণত সংসারের জন্য কী মঙ্গল বার্তা দিয়ে গেল!

এক সময়ে রামানুজের একটা পুরনো হারমোনিয়াম ছিল। তাতে দু’একটা গান ও বাজিয়ে গাইতে পারতো। একটা গান সে প্রায়ই গাইতো- ‘এত সুর আর এত গান, যদি কোনদিন থেমে যায়’। তখন হয়ত সে জানতো না, আর একটু পরিণত হবার আগেই তার জীবন চিরতরে থেমে যাবে। আর আমরা হয়ে যাব সাথীহারা। কবির কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলি- “সঙ্গীহীন এ জীবন শুন্য ঘরে হয়েছে শ্রীহীন। সব মানি- সবচেয়ে মানি তুমি ছিলে একদিন”।

বিগত ২০২২ খ্রি. ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল রামানুজ সরকারের প্রথম স্মরণ বার্ষিকী। তাই প্রার্থণা, স্বর্গালোকে অতুজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে সে যেন পরম পিতার সান্নিধ্য লাভে সমর্থ হয়। নির্মল বন্ধুত্বের প্রতি অতি প্রচ্ছন্ন একটি আবেগ ছিল তার স্বভাবজাত। তার নিটোল ভালবাসার সেই আবেগে আমি সর্বক্ষণ ছিলাম আচ্ছন্ন। তাইতো আমার সহজ-সরল স্বীকারোক্তি ‘সহপাঠী বা সমবয়সি নয়- তবু রামানুজ ছিল আমার সমপ্রাণ’।

(লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক, ছাইকোলা ডিগ্রী কলেজ, চাটমোহর, পাবনা।)

সূত্র : সময় অসময়