শেষ ওভারের নাটকীয়তায় বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ ড্র

প্রথম ওয়ানডেতে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ড্র করে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ-ভারত। জয়ের জন্য ভারত নারী দলের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। এই পেসারের করা ওভারের প্রথম দুই বলে ২ রান করে দুই ব্যাটার। স্কোরলাইন সমান হওয়ার পর ওভারের তৃতীয় বলে উইকেট তুলে নেন মারুফা। তাতে ম্যাচ ড্র হয়। ফলে ১-১ এ সিরিজও ড্র হয়েছে। প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেন ফারজানা হক পিংকি।

আজ শনিবার (২২ জুলাই) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা থাকায় শেষ ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নেয়।

ম্যাচটিতে পিংকির অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করে ভারত। তাতে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজেও ড্র করে দুই দল।

২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ১১ রানে ওপেনার শেফালি ভার্মাকে ফেরান মারুফা আক্তার। এরপরে স্বস্তিকা ভাটিয়াকে আউট করে ভারতকে চাপে ফেলেন সুলতানা খাতুন।

তবে ভারতের আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানাকে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন হারলিন। ৫৯ রান করে স্মৃতি আউট হলেও একপাশ আগলে রাখেন হারলিন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক হারমানপ্রীত। ভারতীয় অধিনায়ককে মাত্র ১৪ রানে আউট করেন নাহিদা আক্তার।

ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে হারলিন আউট হলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে ভারতের মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান জেমিমাহ রদ্রিগেজ দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে শেষদিকে দাঁড়াতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত জেমিমাহ ৩৩ রানে অপারিজত থাকলেও ২২৫ রানে অলআউট হয় ভারত।

ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ বল মোকাবেলা করে ১০৭ রান করে ফারজানা। তার এ ইনিংসে ৭টি চারের মার ছিল। অপরপ্রান্তে ব্যাট হাতে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সোবহানা মোস্তারি।

এ দিন বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। ২টি উইকেট নিয়েছেন মারুফা আক্তার। ম্যাচটিতে বল করতে গিয়ে চোটে পড়লেও পুনরায় মাঠে ফিরে আসেন মারুফা।