হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবকালী বা শ্যামা পূজা আজ রোববার (১২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে।কালী বা শ্যামা পূজা সাধারণত কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
কালী বা শ্যামা পূজার দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। একে বলা হয় দীপাবলি।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, তাঁতী বাজার, শাখারী বাজার, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
হিন্দু পুরাণ মতে, দূর্গারই একটি শক্তি কালী দেবী। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। শক্তির পূজা হচ্ছে কালী পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালীপূজাতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালী পূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে গৃহস্থ বাড়িতে অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাই বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ অনুষ্ঠিত হয় শ্মশানকালী পূজা।