• Uncategorized

    কোলের সন্তানসহ গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ; প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামি 

      নিজস্ব প্রতিবেদক, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) : 2 February 2024 , 7:51:38

    প্রতীকী ছবি

    পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কোলের সন্তানসহ এক গৃহবধূকে (৩৩) তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনার এক মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার প্রত্যন্ত খানমরিচ ইউনিয়নের একটি গ্রামের চার সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয়ে গত ১৫ জানুয়ারি পাবনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত ওই গৃহবধূ। মামলায় অভিযুক্ত প্রতিবেশি আব্দুল হাইসহ (৩৭) অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।

    ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ,’ মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি আব্দুল হাই ও তাঁর আত্মীয় স্বজনরা মামলা তুলে নিতে তাঁদেরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এ ছাড়া আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না।’

    তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সাবিনুর ইসলাম বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। আসামিকে পেলে অবশ্যই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

    মামলার এজাহার  ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশি হওয়ার সুবাদে অভিযুক্ত আব্দুল হাই ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করত। এসময় আব্দুল হাই ওই নারীকে বেশ কয়েকবার কুপ্রস্তাব দেয়। ঘটনার দিন গত ২৬ ডিসেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী-সন্তান বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে বিকেল ৩ টার দিকে ছয় মাস বয়সের কোলের শিশু সন্তানসহ ওই গৃহবধূকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আব্দুল হাইসহ অজ্ঞাত লোকজন। সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত আব্দুল হাই। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের  (ইউপি)চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সন্তানসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনার কোন সুরাহা না হওয়ায় বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবহিত করে ভুক্তভোগী পরিবার। পুলিশ তাদেরকে আদালতের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেয়।

     

    এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন,’পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। আর ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি প্রদানের প্রেক্ষিতে তিনি থানায় (সাধারণ ডায়েরি) জিডি করতে পারেন।’