দেশজুড়ে

তাড়াশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের উপর হামলা ; বিএনপি নেতাসহ ৫ জনের নামে মামলা

  তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : ১৩ জুন ২০২৩ , ৬:০৭:১৫

প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের এজিএম রাব্বুল হাসান সহ কর্মচারীদের উপর হামলা, গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত দুই লাখ টাকা, মোবাইল ফোন সহ বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহ্নত মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম। এর আগে গতকাল সোমবার (১২ জুন) রাতে তাড়াশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নিরাপদ দাস।

মামলার আসামী হলেন, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, তার ছেলে শাফি জাহাঙ্গীর, সেলিম জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই খন্দকার সাইফুল ইসলাম, তার ছেলে সাব্বির খন্দকার ও শিশির খন্দকার।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তাড়াশ জোনাল অফিসের জুন/২০২৩ ক্লোজিং মাসের সরকারী রাজস্ব আদায়ের লক্ষে গত ১২ জুন তাড়াশ জোনাল অফিসের আওতাধীন তাড়াশ পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর আশপাশের এলাকায় এজিএম রাব্বুল হাসানের নেতৃত্বে বকেয়া বিল উত্তোলনের কার্যাক্রম পরিচালিত হয়। বকেয়া পরিচালনার এক পর্যায়ে জিকেএস হাসপাতালে তিন মাসের সর্বমোট ৪৪ হাজার ২৫৭ টাকা আদায়ের জন্য গেলে জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বিল পরিশোধের জন্য ২ ঘন্টা সময় নেন।

পরবর্তীতে দুই ঘন্টা পর বকেয়া বিল চাইতে গেলে জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বিল দিতে অস্বীকৃতি জানান। বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা বললে ক্ষিপ্ত হয়ে খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর ও তার ছেলে শাফি জাহাঙ্গীর বকেয়া বিলের তালিকা সহ অন্যান্য কাগজ কেড়ে নেন। পরবর্তীতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যেগ নিলে রাস্তার উপর দাড়িয়ে থাকা টেকনিশিয়ান নাজেদ আলী, লাইন শ্রমিক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ফোল্ডিং হটিষ্টিক ছিনিয়ে নেন এবং গালিগালাজ করেন।

এ সময় সেলিম জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই খন্দকার সাইফুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে সবাই মিলে একত্রিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বকেয়া বিল উত্তোলন কাজে নিয়োজিত সরকারী কর্মচারীদের উপর দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় এজিএম রাব্বুল হাসান, মিটার রিডার মোস্তফা কামাল, টেকনিশিয়ান নাজেদ আলী গুরুতর আহত হয়। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলা চলাকালে এজিএম রাব্বুল হাসানের হাতে থাকা ৮৩ জন গ্রাহনের জমাকৃত বকেয়া বিলের ২ লাখ টাকা, ৩৫ হাজার টাকা মূল্যে একটি মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিক লাইনে কাজে ব্যবহ্নত মালামালা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এঘটনায় তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, তার ছেলে শাফি জাহাঙ্গীর, সেলিম জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই খন্দকার সাইফুল ইসলাম, তার ছেলে সাব্বির খন্দকার ও শিশির খন্দকারকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।

এবিষয়ে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, আমার বিল পরিশোধ আছে। তারপরও আমার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসে। আমি বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। তার পর শুনলাম আমার বিরুদ্ধে, আমার ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এর বাইরে কিছু বলতে পারবো না।