পাবনা

আটঘরিয়ায় পিঠা উৎসব

  মাসুদ রানা, আটঘরিয়া (পাবনা) : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ , ৯:৫৯:০৪

পাবনার আটঘরিয়ায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) উপজেলা অডিটরিয়ামে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

প্রায় এক যুগ ধরে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ পিঠার সঙ্গে নানান শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে শীতের মৌসুমে এ আয়োজন করে দেবোত্তর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হ্যাপি টেকনোলজিস এর ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ।

পিঠা উৎসবে দুধ চিতই, রস মঞ্জুরি, ঝাল পাটিসাপটা, খলা ঝালি, ঝাল পিঠা, নারকেল নাড়ু, মুগ পাক্কন, পাটিসাপটা, বাশবোশা পিঠা, ভাপা, তেলের পিঠা, ডিম পোয়া, পুলি পিঠা, নারকেল পিঠা, নোনাস পিঠা, ডাল পাকন, শুকনা পিঠা, লতা পিঠা, শামুক পিঠা, সাকুর পিঠা, পদ্মার ইলিশ পিঠা, পান্তুয়া, জেলি কেক, বরফি, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ঝুনঝুনি পিঠা, ক্ষীর পাটি সাপটাসহ বিভিন্ন বাহারী নামের ও রকমের পিঠা টেবিলে সাজিয়ে রাখা হয়।

নিজ হাতে বানানো প্রায় চার শতাধিক পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ নানান বয়সীরা। দারুণ এ আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে উপজেলা অডিটরিয়ামে ছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণা।

প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহারুল ইসলাম, আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাদিউল ইসলাম, ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার মিয়া মোহাম্মদ আহসানুল কবির, আটঘরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক, মৎস্য কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন সহ অনেকেই।

৯ম পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন হ্যাপি টেকনোলজিস এর ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ।

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে শীতকালে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আসছি। সবগুলো পিঠা অভিভাবকদের সহযোগীতায় শিক্ষার্থীরা বানিয়েছে।

এবার নতুন নতুন ধরনের পিঠা দেখছি। দারুণভাবে উপভোগ করছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনের উপস্থিতি সরব রয়েছে।

আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, পিঠা উৎসব অসাধারণ একটি আয়োজন ছিল। পিঠা গুলো যেভাবে টেবিলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে তা আসলেই সুন্দর লাগছে।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহারুল ইসলাম বলেন, আমি সব ঘুরে দেখেছি। সত্যিই আমি অভিভূত। এতো রকমের পিঠা, এরমধ্যে অনেক পিঠার নাম আমি নিজেও জানি না। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধারণে এ আয়োজন প্রশংসনীয়। এ উৎসবটি পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে।

পিঠা উৎসবে সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম।