জাতীয়

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আজ

  সবুজ আলো ডেস্ক ১ অক্টোবর ২০২৩ , ৭:১৯:০৯

প্রতীকী ছবি

আজ রোববার (১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের জন্যে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা’।

দিবসটিতে প্রতিবারের মতো এ বছরও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক), ফোরাম ফর দ্য রাইটস অব দ্য এল্ডারলি, বাংলাদেশ (এফআরইবি) এবং ঢাকা মহানগর প্রবীণ উন্নয়ন ফোরাম যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনটি ধানমন্ডির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে। সারা বিশ্বের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর চেতনাকে জাগ্রত করবার জন্য ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রবীণ দিবস পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রবীণদের কল্যাণে উন্নত ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।প্রবীণ নাগরিকরা যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা ও প্রযুক্তিগত সাম্যতা অর্জন করতে পারেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদন ও শ্রদ্ধাশীল। তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সুরক্ষার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, তাদের পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজকের প্রবীণ নাগরিকরাই স্বাধীনতা সংগ্রামে লাল-সবুজের পতাকা অর্জন করেন। বঙ্গবন্ধু প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত সংবেদনশীল। প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদে অসহায় প্রবীণদের জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার তিনি সন্নিবেশিত করেন।

দিবসের কর্মসূচি
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সমাজসেবা অধিদফতর নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা, জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে খুদেবার্তা পাঠানো, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্ক্রল প্রচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

বিশেষ অতিথি ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবীদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সমাজকল্যাণ সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।