জাতীয়

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

  সবুজ আলো ডেস্ক ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২:৩৯:১৯

ছবি : সংগৃহীত

৮ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিনটি যথাযথভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। ইউনেস্কো কর্তৃক নির্ধারিত এ বছর সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’; যা সময়ের গুরুত্ব বিবেচনায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর (বিএনএফই) প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা ও বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়।

এদিকে, ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বাংলাদেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।

১৯৭৩ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। সে বছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটিও হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। ওইদিন ঠাকুরগাঁওয়ের কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।