Uncategorized

একুশে বইমেলার পর্দা উঠছে আজ

  সবুজ আলো ডেস্ক 1 February 2023 , 7:59:34

করোনা আগ্রাসনের পর এবারই প্রথম যথাসময়ে অর্থাৎ আজ ১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য – পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।

বুধবার বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এবারের বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি নতুন গ্রন্থ উন্মোচন করবেন এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রদান করবেন। ২০২২ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণগত মানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থের মধ্য থেকে দেওয়া হবে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’। এছাড়া প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্য দেওয়া হবে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’। প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচার করে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে।

এবারের বইমেলার জন্য ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট (স্টল) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭৭৬টি স্টল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অমর একুশে বইমেলা কমিটির সম্পাদক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকাশক ও মেলাপ্রেমীদের পরামর্শ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা স্টল ও প্যাভিলিয়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে কিছু পরিবর্তন এনেছি। পূর্ববর্তী পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ৪৮৯টি স্টল এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা যেকোনো কোণ থেকে পুরো মেলার মাঠ দেখতে পারেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের পাশে পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের স্টল বসানো হয়েছে। খাবার দোকানের জন্য দুটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত হয়েছে। কোনো অসংগঠিত, খোলা বা রাস্তার খাবারের দোকান থাকবে না।’

মেলায় প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চারটি প্রবেশপথ ও চারটি প্রস্থান পথ দিয়ে দর্শনার্থীরা চলাচল করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তারা সকাল ৮টায় মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত সাড়ে ৮টার পর সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে।