ধর্ম ও জীবন

পবিত্র শবে বরাত আজ

  নিউজ ডেস্ক ৭ মার্চ ২০২৩ , ৭:৩৭:১০

মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত আজ। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। হিজরি বছরের শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতটিকে সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন মুসলমানরা। শবে বরাত মুসলামানদের কাছে লাইলাতুল বরাত নামেও পরিচিত। পবিত্র শবে বরাত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।

ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। মহিমান্বিত এই রাতে পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এছাড়াও কোরআন তিলাওয়াত করেন ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ–অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন মুসলমানরা।

মুসলমানদের বিশ্বাস, মহিমান্বিত এই রাতে মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের ভাগ্য অর্থাৎ তার নতুন বছরের ‘রিজিক’ নির্ধারণ করে থাকেন। এই রাতে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করা হয়।

শবে বরাত উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। সমাজের দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বিত্তবানদের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, আসুন সব প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনা ব্যক্তিসমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।

এদিকে, পবিত্র শবে বরাতে আতশবাজি, পটকাবাজি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শবে বরাত রাতে আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়টি মাইক দিয়ে মহল্লায় মহল্লায় প্রচার করা হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৩ বা ২৪ মার্চ রোজা শুরু :

শবে বরাতের দিন থেকে পরবর্তী ১৪-১৫ দিন পর শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান। হিসেব অনুযায়ী, শাওয়াল মাস ২৯ দিনে শেষ হলে রমজান শুরু হবে ২৩ মার্চ। আর ৩০ দিন পূর্ণ হলে ২৪ মার্চ থেকে রোজা রাখা শুরু করবেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্মকর্তা বলেন, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে রোজা। তবে আরবি মাস ৩০ দিনের বেশি না হওয়ায় ২৩ অথবা ২৪ মার্চ রমজান মাস শুরু হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।