জাতীয়

পুলিশকে অতি প্রয়োজন ছাড়া বলপ্রয়োগ না করার আহ্বান জাতিসংঘের

  নিউজ ডেস্ক ৪ আগস্ট ২০২৩ , ১১:৪৩:৩০

বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন। সরকারবিরোধীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে হামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিশন বলছে, পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের ঘটনা অবিলম্বে তদন্ত করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রেস নোটে এ আহ্বান জানান হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স।

মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধীদের বেশ কয়েকটি সমাবেশ ঘিরে দফায় দফায় সহিংস পরিস্থিতি দেখা গেছে, যেখানে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে। বিক্ষোভকারীদের মারধর করতে সাধারণ পোশাক পরিহিত লোকজনের পাশাপাশি পুলিশকে অন্যান্য বস্তুর মধ্যে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট ও রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বিরোধীদলীয় অনেক সমর্থক এবং পুলিশের কিছু সদস্য এসব ঘটনায় আহত হয়েছে। বিরোধীদলীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য পরিচয়ে তাদের ঘরবাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। সমাবেশের আগে ও সমাবেশের সময় বিরোধী দলের শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জেরেমি লরেন্স আরো বলেন, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণকে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ দিতে হবে এবং তৃতীয় পক্ষের দ্বারা সেই অধিকারগুলোর প্রয়োগকে দমন বা সীমিত করার প্রচেষ্টা থেকে রক্ষা করার জন্য কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। আমরা পুলিশকে এটা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি যে শুধুমাত্র কঠোরভাবে প্রয়োজন হলেই যেন বল প্রয়োগ করা হয় এবং যদি বলপ্রয়োগ করতেই হয়, তবে বৈধতা ও সংযমের নীতিগুলো যেন মানা হয়। অতিরিক্ত বল প্রয়োগের ঘটনা অবিলম্বে তদন্ত করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।