পাবনা

ভাঙ্গুড়ায় ৪ বছর পর কবর থেকে তোলা হলো নারীর লাশ 

  নিজস্ব প্রতিবেদক, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) : ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৫:২৯:৩২

প্রতীকী ছবি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দাফনের চার বছর পর আদালতের নির্দেশে ময়না খাতুন (৪৫) নামে এক নারীর লাশ তোলা হয়েছে। ওই নারীকে পরিকল্পিতভাবে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামীর দায়ের করা একটি হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত মৃতদেহটি তোলার নির্দেশ দেন। নিহত ময়না খাতুন উপজেলার প্রত্যন্ত খানমরিচ ইউনিয়নের ঘোষ বালাই গ্রামের আয়নাল হকের স্ত্রী।

আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশের হাড়গোড় পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হবে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাবনার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আবুল হাসনাতের উপস্থিতিতে উপজেলার সুলতানপুর কবরস্থান থেকে লাশের হাড়গোড় তোলা হয়। ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির পাশের মাঠে গৃহবধূ ময়না খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরিবারের লোকজন এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে তাকে দাফন করে। এঘটনার আট মাস পর ময়না খাতুনের স্বামী আয়নাল হক পাবনা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই গ্রামের হাঁসের খামারী বেলাল হোসেন ও আব্দুল জলিলসহ চারজনকে আসামি করা হয়। পরে আদালত মামলাটির তদন্ত করতে ভাঙ্গুড়া থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়-অভিযুক্তরা হাঁসের খামারের বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে পরিকল্পিতভাবে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ময়না খাতুনকে হত্যা করেছে। পরে তার লাশ বাড়ির পাশের মাঠের মধ্যে ফেলে রাখে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভাঙ্গুড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন,‘এ ঘটনার তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে লাশটি চার বছর পর কবর থেকে তোলা হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।’

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন,‘আদালতের নির্দেশে ওই লাশের হাড়গোড় কবর থেকে তোলা হয়। আজ শুক্রবার ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশটি পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হবে।’