জাতীয়

সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১৭

  নিউজ ডেস্ক ৭ অক্টোবর ২০২৩ , ৮:৫২:২০

বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে ৪০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত, ৬৫১ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ১০৭ জন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেপ্টেম্বর মাসে রেলপথে ৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত, ২৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৬ টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত, আহত ৪ এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৪৬৭ টি দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জন নিহত এবং ৬৮১ জন আহত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই মাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। বিভাগটিতে ১১৪ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত ও ১১২ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে। সেখানে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১০৬ জন আহত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ

ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। তাদের মতে, ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ এবং ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং এসব যানবাহন সড়ক-মহাসড়কে অবাধ চলাচলের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে।

সংস্থাটি বলছে, সড়ক-মহাসড়কে ‘রোড সাইন বা রোড মার্কিং’ ও ‘সড়ক বাতি’ না থাকার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও রাতের বেলা যানবাহনে অবাধ ফগ লাইট ব্যবহারও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

চলতি বর্ষায় সড়ক-মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি; যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণত; উল্টোপথে যানবাহন চালানো ও সড়কে চাদাঁবাজি; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানোকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে বেসরকারি এই সংস্থা। তাদের করা সুপারিশগুলো হলো—

১. মোটরবাইক ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা।

২. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস দেওয়া।

৩. রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।

৪. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা।

৫. রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা।

৬. চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট বড় গর্ত দ্রুত অপসারণ করা।

৭. গণপরিবহন বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়ানো। মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।