• Uncategorized

    আফগানদের বিরুদ্ধে শেষ ওয়ানডেতে সান্ত্বনার জয় টাইগারদের

      সবুজ আলো ডেস্ক 11 July 2023 , 10:04:25

    ছবি : সংগৃহীত

    আফগানদের দেওয়া ১২৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সাত উইকেটে জয় পায় টাইগাররা। এতে হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচল বাংলাদেশ। তবে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান।

    মঙ্গলবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে ২৩ ওভার ৩ বলে জয় পায় স্বাগতিকরা।

    ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভারে এক রান দেওয়া শরিফুল উইকেটের দেখা পান দ্বিতীয় ওভারে। প্রথম বলেই তার বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন ইবরাহিম জাদরান। এক রানে বিদায় নেন তিনি। ওই ওভারের পঞ্চম বলে একই কাজ করেন ব্যাট করতে নামা রহমত শাহ। বল তালুবন্দি করতে ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। শূন্য রানেই বিদায় নেন আফগান ব্যাটার।

    ৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া আফগানরা বড় ধাক্কা খায় ষষ্ঠ ওভারেই। এরপর তাসকিনের শিকার হয়ে ফেরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সফরকারীদের ম্যাচ জেতানো গুরবাজ। তাসকিনের লাফিয়ে ওঠা বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা হয় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৬ রান করেছেন গুরবাজ।

    অষ্টম ওভারে আবার আঘাত হানেন শরিফুল। এবার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিকে। তার গুড লেংথের বল শাফল করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি নবি। বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে তার প্যাডে। ফলে ১ রানেই ফিরতে হয় তাকে।

    মাত্র ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানরা লজ্জার এক রেকর্ডও গড়ে। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এতো কম রানে কখনোই চার উইকেট হারায়নি তারা।

    ১০ ওভারের পর দুই প্রান্ত দিয়েই স্পিন আক্রমণ করে বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে গিয়ে উইকেটের দেখা পান সাকিব আল হাসান। তার লেংথ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন ১০ রান করা নাজিবউল্লাহ জাদরান। এরপর তাইজুলের বলে ২২ রানে ফেরেন শহীদি।

    দ্বিতীয় স্পেলে এসে আবার উইকেটের দেখা পান শরিফুল। এছাড়া জিয়াকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তাইজুল। পরে আফগানদের শতরান পার করান ওমরজাই। দারুণ খেলতে থাকা এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত কাটা পড়েন তাসকিনের বোলিংয়ে। ইনিংসের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। ৭১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ওমরজাই। এটাই তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।

    বাংলাদেশের হয়ে ৯ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল। দুটি করে উইকেট পান তাসকিন ও তাইজুল। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব।

    জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশেরও। উদ্বোধনী ব্যাটার নাঈম শেখ ৮ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি। এরপর বোল্ড হন ফজল হক ফারুকীর বলে। এরপর ১৫ বলে ১১ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তও তার বলে আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

    পরে লিটন দাসের সাথে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন সাকিব আল হাসান। লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন ৬১ রানের জুটি। ৩৯ বলে ৩৯ রান করার পর মোহাম্মদ নবীর বলে ক্যাচ দেন সাকিব। জয়ে অবশ্য সেটি বাধা হয়নি। তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন লিটন। বাংলাদেশের সহ অধিনায়ক ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর ১৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।

    সিলেটে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে শুক্রবার।

    তৃতীয় ওয়ানডের সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    আফগানিস্তান ৪৫.২ ওভারে ১২৬ (ফারুকী ০*; ওমরজাই ৫৬, মুজিব ১১, জিয়া ৫, আব্দুল ৪, হাশমতউল্লাহ ২২, নাজিবউল্লাহ ১০, নবী ১, গুরবাজ ৬, রহমত ০, ইব্রাহিম ১)

    বাংলাদেশ ২৩.৩ ওভারে ১২৯/৩, লক্ষ্য ১২৭ ( তাওহীদ হৃদয় ২২*, লিটন দাস ৫৩*; নাঈম শেখ ০, নাজমুল হোসেন শান্ত ১১, সাকিব আল হাসান ৩৯)

    ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।

    ম্যাচসেরা: শরিফুল ইসলাম

    সিরিজসেরা: ফজল হক ফারুকি