দেশজুড়ে

তাড়াশে শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন সহকারী শিক্ষক!

  আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:২০:২৯

আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে সহকারী শিক্ষক ও তার ছেলের মারপিটে প্রধান শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই প্রধান শিক্ষককে প্রথমে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের জন্তিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে।

 

আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জন্তিপুর গ্রামের স্থানীয় জয়নাল আবেদীন নামের সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত জন্তিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় ২০১৮ সালে আমি ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার সময়ে আমাকে তিনি যোগদান করতে বাঁধা দেন। তার বাঁধা উপেক্ষা করে যোগদান করি। তখন থেকে আমার সাথে মনোমালিন্য চলছিল। কিন্ত আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের চাকুরীর শেষ দিন। তিনি অবসর গ্রহন করবেন। এ সময় আমি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছিলাম। এসময় সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ও তার ছেলে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পুর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিশোধ নিতে তার সঙ্গে বাগবিতন্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষক ও তার ছেলে লাঠিসোটা নিয়ে তাকে অতর্কিত মারপিট করেন। এতে কপাল ফেটে যায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন প্রধান শিক্ষককে মারপিটের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

 

তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক বলেন, ‘আজ সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের অবসরগ্রহনের দিনে একজন প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমরা এ ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই দ্রুত জয়নাল আবেদীন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করছি।’

 

তাড়াশ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আলী আশরাফ বলেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের মারামারির ঘটনাটি তিনি জানতে পেরেছেন।বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। তিনি আরো বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।