পাবনা

রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের চালকের বস্তাবন্দি গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার, নারী আটক

  সবুজ আলো প্রতিবেদক ২৫ মার্চ ২০২৩ , ৩:০১:৪৫

নিখোঁজের দু’দিন পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথের এক গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশশনিবার (২৫ মার্চ ) সকালে পাবনা-কুষ্টিয়া সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর শিলাইদহ ঘাটে এক বিলাসবহুল গাড়ি থেকে বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করা হয়নিহত গাড়িচালক সম্রাট (২৫) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে

স্থানীয়রা জানান, শিলাইদহ ঘাটে দুই দিন ধরে একটি বিলাসবহুল প্রাডো জিপ গাড়ি পড়ে ছিল। সকালে সেই গাড়ির থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভেতর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জানান, নিকিমথ কোম্পানির পরিচালকের গাড়ির চালক ছিলেন সম্রাট খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রাডো গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফেরেননি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা যায় সম্রাট নিকিমথ কোম্পানির আরেক গাড়িচালক উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের বাড়িতে গিয়েছিল। রাত ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে আটক করে। একপর্যায়ে সীমা খাতুন স্বীকার করেন সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ বস্তায় ভরে প্রাডো গাড়িতে তুলে মমিন নিয়ে গেছে। শনিবার (২৫ মার্চ ) সকাল ৮টার দিকে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় গাড়ির মধ্যে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, গাড়িচালক সম্রাট খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।