সবুজ আলো ডেস্ক 12 May 2023 , 8:57:22
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ১৬০৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১০ লাখ সাত হাজার ১০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব বলে শুক্রবার (১২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে, যেসবে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৯৯ জনকে রাখা যাবে।
এ জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮৬০০ জন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, কক্সবাজার জেলায় ২০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫৯০ টন চাল, সাড়ে তিন টন টোস্ট বিস্কুট, তিন টন ড্রাই কেক, ২০ হাজার খাবার স্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেয়া হয়েছে।
আর চট্টগ্রামে নগদ ১৪ লাখ আট হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬০৮ টন চাল, সাড়ে তিন টন টোস্ট বিস্কুট, তিন টন ড্রাই কেক ও ৩০ হাজার প্যাকেট খাবার স্যালাইন মজুত রাখা হয়েছে। রয়েছে ৬০ হাজারটি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও।
জেলাটিতে ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এগুলোর ধারণক্ষমতা পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জন। এরইমধ্যে সিপিপির আট হাজার ৮৮০ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা যেমন ধারণা করেছিলেন, সেভাবেই উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকের গতিপথ বদলে বাঁক নিয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে মোখা।
এভাবে চললে আগামী রোববার দুপুর নাগাদ এই ঘূর্ণিবায়ুর চক্রটি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মোখা ইতিমধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। কক্সবাজারে টিন, বাঁশ, কাঠ ও পলিথিন দিয়ে বানানো ঘরে রোহিঙ্গারা কীভাবে এই ঝরকে সামলাবেন, সেই প্রশ্নে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।