আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) 3 March 2023 , 9:04:59
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনতার সামনে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষক দম্পত্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধাইননগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শিক্ষা পদক ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২মার্চ) তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার সোনাপাতিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী জাতীয় শিক্ষা পদক ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা মাধাইনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন ইভেন্ট শেষে নৃত্য ইভেন্টে সোনাপাতিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের নাম ঘোষনা করা হয়। এ সময় মাদারজানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন পুর্ববিরোধের জের ধরে সোনাপাতিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সকল শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে প্রকাশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে নিষেধ করা হলে তার স্বামী ওয়াশিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসেম কোন কিছু না জেনেই চেয়ারের উপর দিয়ে লাফিয়ে এসে কিল,ঘুষি ও মারধর করে জখম করে। এ সময় উপস্থিত অন্য শিক্ষকরা ও অভিভাবক এসে আহত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
সোনাপাতিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক ও শত শত জনতার সামনে ফাতেমা খাতুন ও আবু হাসেম দম্পত্তি আমাকে মারধর করে। আমি এঘটনার বিচার চাই। এ কারনে আমি শিক্ষা অফিসারসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পত্তি মাদারজানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন ও ওয়াশিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসেম এর বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইয়ুবুর রহমান রাজন বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে একজন প্রধান শিক্ষককে মারধর করা চরম অন্যায় করা হয়েছে। এ ঘটনার একটা বিচার দাবী করছি। ভবিষ্যতে যেন এমন কর্মকান্ড করতে কেউ সাহস না করে।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার অফিসারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিয়েছি।