আন্তর্জাতিক

নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ মিলল টাইটানিকের পাশেই

  অনলাইন ডেস্ক ২৩ জুন ২০২৩ , ২:১৫:২৪

ছবি : সংগৃহীত

আটলান্টিকে মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে এই জলযানের বাইরের আবরণের অংশ শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড এর আগে নিশ্চিত করে যে, অনুসন্ধান এলাকার মধ্যে একটি ধ্বংসাবশেষ ক্ষেত্র পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।

পানির তলদেশে অনুসন্ধান চালানো দূর নিয়ন্ত্রিত একটি যান টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের পাশেই নিখোঁজ সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করে। বিস্তারিত তথ্য জানাতে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে (১৯০০ জিএমটি) যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।

ডাইভ এক্সপার্ট এবং উদ্ধার গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এক্সপ্লোরার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মিয়ার্নস বিবিসিকে বলেন, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে সাবমেরিনটির একটি অবতরণ ফ্রেম এবং পেছনের কভার (আবরণ) রয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) উত্তর আটলান্টিকে নিখোঁজ হয় সাবমেরিন টাইটান। এতে করে পাঁচ ক্র্যু টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন। সাবমেরিনটিতে চার দিনের অক্সিজেন মজুত ছিল। কিছু বিশেষজ্ঞের অনুমান যে, বহিঃঅবকাঠামোগত ব্যর্থতার কারণে এটি বিপর্যয়কর বিস্ফোরণের শিকার হতে পারে।

উত্তর আটলান্টিকে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের অবশিষ্ট অংশ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সাবমেরিনটি। এই সাবমেরিনে পাঁচ যাত্রী ছিলেন। ২১ ফুট লম্বা সাবমেরিনটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তারা। রোববার যাত্রা শুরুর ঘণ্টা দুয়েক পর থেকেই তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সাবমেরিনের খোঁজে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়।

সাগরের প্রায় ২৬ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে সাবমেরিনটির অনুসন্ধান চালানো হয়। এই অঞ্চলের আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট রাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণ। অঞ্চলটি ঝড়প্রবণ এবং দৃশ্যমানতা বেশ দুর্বল হওয়ায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো ছিল বেশি চ্যালেঞ্জিং। ওই সাবমেরিনে থাকা পাঁচ যাত্রীর পরিচয় প্রকাশ করেছে বিবিসি। তারা হলেন হ্যামিশ হার্ডিং, শাহজাদা দাউদ, সুলেমান দাউদ, পল হেনরি নারজিওলেট ও স্টকটন রাশ।

উল্লেখ্য, ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক সাগরে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক। প্রায় ১৩ হাজার ফুট সমুদ্রের গভীরে চলে যায় এই বিশাল জাহাজ। কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল।