সবুজ আলো ডেস্ক 21 March 2023 , 12:15:26
মাঝে কাটা নদী, নদীর দু’পাড়ে চারটি গ্রাম। সেই গ্রামগুলোর মানুষদের নদী পারাপার হতে হয় বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের তৈরি সাঁকো’তে।
বলছিলাম, পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের স্থলগ্রাম ও নলডাঙ্গা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা কাটা নদী আর নদীর দু’পাড়ের চারগ্রামের মানুষের কথা।
এই নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে, যাতায়াতে ভোগান্তি দূর হবে এমন আশায় আছে এলাকাবাসী।
উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের স্থল, নলডাঙ্গা, চর এনায়েতপুর ও মিলনচর এই ৪টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভরসা একটি মাত্র বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকোর উপর দিয়েই চলে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত ।
কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজ হয়নি।
স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ জরুরি কোনো রোগীকে হাসপাতালে নিতে এবং সাধারণ মানুষকে বর্ষায় নৌকা ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে।
নদীপাড়ের গ্রাম নলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানান, এখানে ব্রিজ বিশেষ প্রয়োজন। ব্রিজ না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। একটি ব্রিজ না থাকায় এলাকার স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী নৌকা বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে নদী পাড় হতে হয়। ব্রিজটি নির্মাণ হলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন যথাসময়ে স্কুলে আসা ও দুর্ঘটনার আশঙ্খা থেকে রক্ষা পেত। ইতোপূর্বে বাঁশের সাঁকো পাড় হয়ে স্কুলে আসার সময় পা ফসকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে অনেক ছাত্রী। এমনকি বর্ষা মৌসুমে ডিঙ্গি নৌকা ডুবে বড় দুর্ঘটনায়ও পড়েছে।
হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল করিম গণমাধ্যমে বলেন, এলাকাবাসীর স্বার্থে ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ খুবই জরুরি। ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর উন্নয়ন হবে। এই ব্রিজের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিকট বার বার বলেছি, আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। বাঘলবাড়ী বাজার থেকে স্থল ও নলডাঙ্গা হয়ে চর এনায়েতপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পাকা রাস্তাসহ ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সুলতান মাহমুদ জানান, “স্থল নদী ঘাটে ব্রিজ প্রয়োজন বিষয়টি জানতে পারলাম। এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে প্রকল্প প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।”