জাতীয়

উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের ক্ষমতা কেড়ে নিলেন হাইকোর্ট

  সবুজ আলো ডেস্ক ২৯ মার্চ ২০২৩ , ৩:৩২:৫৭

উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ-সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকলো না। তবে এখন থেকে উপজেলা পরিষদে ইউএনও সাচিবিক সহায়তা দেবেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন-আইনের এমন বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

আইনের ৩৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। (২) পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃংখলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন।

রুল জারির পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেছিলেন, উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ বিষয়ে রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান উপদেষ্টা থাকবে বলে বিভিন্ন সময়ে জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ হবে না সেসব বিষয়েও রুল জারি করেছিলেন।

উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ ও অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভীন, কালিয়াকৈর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার ২০২০ সালে ৭ ডিসেম্বর এ রিট করেন।