নিউজ ডেস্ক 11 December 2022 , 3:30:38
মাত্র একটি গাভি দিয়ে শুরু করেছিলেন খামার।এখন ৪২টি গরু রয়েছে খামারে। গত ১৩ বছরে ২শ’ গরু বিক্রিও করেছেন ।
বলছিলাম পাবনার চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের পৈলানপুর গ্রামের আলেপ হোসেনের কথা।
আলেপ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৭ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করার পর ২০০৯ সালে বাবার দেওয়া গাভি পালন শুরু করি। গাভিটার একটা বাছুর হয়। বাছুর বড় হলে সেটা বিক্রি করে আরেকটা গাভি কিনি। এভাবেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে খামারের পরিধি। এখন ৪২টি গরু আছে আমার খামারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৩ বছরে ষাঁড়, গাভি, বাছুর মিলিয়ে ২০০ গরু বিক্রি করেছি। খামার থেকে আয়ের টাকায় ১০ বিঘা জমি কিনেছি। ঘাস উৎপাদনের জন্য আরও ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। এখন আমি প্রায় ২১ বিঘা জমি আবাদ করি। যে ৪২ গরু খামারে আছে সেগুলোর দাম প্রায় ৭৫ লাখ টাকা।’
তিনি জানান, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। গরু পালন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দুজন শ্রমিক কাজ করছেন তার খামারে। তাদের মাসে ত্রিশ হাজার টাকা বেতন দেন তিনি। খাদ্যের দাম দফায় দফায় বাড়লেও গত প্রায় এক যুগে দুধের দাম বাড়েনি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।