গাজা এখন শিশুদের কবরস্থান: জাতিসংঘ মহাসচিব
নিউজ ডেস্ক
7 November 2023 , 2:45:16
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘ব্যাপক বোমা হামলার কারণে গাজা উপত্যকা এখন শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হয়েছে।’
এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গুতেরেস বলেন, ‘এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতির কারণে প্রতি ঘণ্টায় মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরও জরুরি হয়ে পড়েছে।’
সোমবার নিউইউর্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। খবর এএফপির।
গুতেরেস আরও বলেন, ‘সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলকে এই অমানবিক ভোগান্তি বন্ধ এবং গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে।’
‘গাজার দুঃস্বপ্ন একটি মানবিক সংকটের চেয়েও বেশি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি মানবতার সংকট।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, গাজায় ১০ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের অধিকাংশই শিশু।
এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এদিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য গুতেরেস দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
নিউইয়র্কভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এর মতে, গেল এক মাসে ইসরায়েল কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীকে হত্যা করেছে।
গাজায় আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছেন অভিযোগ করে গুতেরেস বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সরবরাহ ছাড়া ইনকিউবেটরে থাকা শিশু এবং লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীরা মারা যাচ্ছে। গাজায় এখন এমন ঘটনাই ঘটছে।’
তিনি বলেন, ‘এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে এখনই মানবিক যুদ্ধবিরতি জরুরি। এক্ষেত্রে সক পক্ষের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ঘরবাড়িতে চালানো হামাসের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ১৪শ নিহত হয়েছে। হামাসের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। হামাসের হামলার প্রথম দিনে গুলি করে ও পুড়িয়ে মারার এবং ২৩০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করার পর ইসরায়েল গাজা অবরোধ করে এবং সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়।
গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১০ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এদের প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু।
সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ১৫ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।