জাতীয়

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন

  নিউজ ডেস্ক ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৮:১৬:৪৪

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহুল প্রতীক্ষিত এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ আগামীকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত হবে।

আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কাওলা অংশে এক্সপ্রেসওয়ের নামফলক উন্মোচন করেন ও মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পৌনে চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করে।

সেখানে টোলপ্লাজায় টোল পরিশোধ করে ফার্মগেটের উদ্দেশে রওনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। বিকাল চারটার দিকে শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আক্তার জানান, বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এই পথে বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। তবে বনানী ও মহাখালীতে দুটি র‌্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিমি। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না। আর মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের টোল রেট ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

ক্যাটাগরি ১-এর অধীনে যেকোনো স্থান থেকে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জীপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা।

মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা।

ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যেকোনো বাসের (১৬ সীটের বা তার বেশি) টোল রেট ৪-ক্যাটাগরির অধীনে ১৬০ টাকা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) তহবিল ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে।

ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে ইতালীয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) শেয়ার ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

প্রকল্প অনুযায়ী, প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি ২০১১ এবং পর্যালোচনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ এবং প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০২৪। বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।