কৃষি

ভাঙ্গুড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো ধানের আবাদ 

  নিজস্ব প্রতিবেদক, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) : ২৩ মার্চ ২০২৪ , ৫:৪৭:৫৮

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে জমিতে চারা রোপণের কাজ শেষ করেছেন এখানকার ধান চাষিরা। এখন খেতে সার-কীটনাশক প্রয়োগ,আগাছা পরিষ্কার ও পানি সেচ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে,ধানের দাম ভালো পাওয়ায় এলাকার কৃষকেরা এবছর বোরো আবাদের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়।আর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদকৃত জমির পরিমাণ ৭ হাজার ৫০ হেক্টর।এর মধ্যে আধুনিক লোগো পদ্ধতিতে আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শওকত জামিল বলেন, ‘এখানকার চাষিরা ব্রি-২৯,ব্রি-৮৯,ব্রি-৯২,বঙ্গবন্ধু-১০০,বিনা-২০ প্রভৃতি জাতের ধানের আবাদ করেছেন।প্রতিবছরের মতো এবারও ধানের আবাদ বেশি হয়েছে উপজেলার খানমরিচ ও দিলপাশার উপজেলার ভবানীপুুর গ্রামের চাষি খায়রুল ইসলাম মোল্লা জানান, ‘গত বছর ৯ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলাম।এবছর ১৩ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ ও ব্রি-৮৯ জাতের ধান আবাদ করেছি। এখন খেতে সার-কীটনাশক ছিটানো ও আগাছা পরিষ্কার শুরু করেছি।’বড়পুকুরিয়া গ্রামের মেহেদী হাসান রানা জানান,’এ বছর প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ব্রি-২৯ জাতের ধানের চারা রোপণ শেষ করেছি। এখন খেতের আগাছা পরিষ্কার ও রোগ প্রতিরোধে খেতে কীটনাশক প্রয়োগ করছি।আশা করছি ফলন ভালো পাবো।’উত্তর কলকতি দরিপাড়া গ্রামের কুরবান আলী মোল্লা জানান, এবার সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছি।এর মধ্য কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে লোগো পদ্ধতিতে আড়াই বিঘা জমিতে ধান লাগানো হয়েছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান বলেন,’চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। জমিতে চারা রোপণ শেষে করে চাষিরা এখন ধান খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন।ধান উৎপাদন বাড়াতে কৃষি অফিস থেকে চাষিদের নানা রকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো ফলন হবে।’