সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। শ্রীকৃষ্ণ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতেই এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
সনাতন ধর্মানুসারে, শান্তিহীন পৃথিবীতে শান্তি আনতেই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। দ্বাপর যুগের শেষ দিকে এই মহাপুণ্য তিথিতে মথুরা নগরে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে দেশের সব নাগরিকের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় বিশ্ব পাপ ও অরাজকতায় পরিপূর্ণ ছিল। তাই মানবজাতিকে রক্ষার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শ্রীকৃষ্ণ মানবজাতির কাছে জীবন ধারণের অনন্য উদাহরণ রেখে যান।
রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন মন্দিরে পূজা-অর্চনা, তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন ও তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞেরও আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
সকালে ষোড়শ উপচারে পূজা শেষ করে প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ, ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে কৃষ্ণপূজা এবং আগামীকাল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
আজ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ্ পার্কে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এছাড়া বিভিন্ন মন্দিরে দুই দিনব্যাপী পালিত হবে পূজাসহ নানা কর্মসূচি। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয়ভাবে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সকাল ৮টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ, বেলা ৩টায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল এবং রাতে তিথি অনুযায়ী কৃষ্ণ পূজা।
জন্মাষ্টমী মিছিল উদ্বোধন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিশেষ অতিথি থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী শ্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাজি সেলিম।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে। ৮ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। উদ্বোধন করবেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।