সবুজ আলো প্রতিবেদক 15 April 2023 , 9:58:10
প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে নিজের বাসায় নিয়ে তোলা হয় নগ্ন ছবি। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন তারা।
এমনই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পাবনা শহর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনা পৌর এলাকার রাধানগরের ময়দানপাড়া মহল্লার মোশারফ শেখের ছেলে শহরের ফজলুল হক রোডের মুক্ত টেইলার্সের মালিক মুন্না হোসেন এবং তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, যশোর থেকে এসে পাবনায় পাটের ব্যবসা করতেন ইসমাইল হোসেন। মাঝে অভিযুক্তদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরবর্তীতে মুক্তা খাতুন সুপরিকল্পিতভাবে বাদীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন। সেই সুযোগে পরিকল্পিতভাবে ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নেন তিনি। পরবর্তীতে ধারের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে তাকে গত ২০ মার্চ রাধানগর ময়দানপাড়ায় আসামিদের নিজস্ব বাসায় নিয়ে যায়।
বাসায় নিয়ে বাদীকে ডাইনিং রুমে আটক করে মুন্না হোসেন এবং মুক্তা খাতুনসহ তাদের দুই থেকে তিনজন সহযোগীদের মাধ্যমে জোরপূর্বক ইসমাইলকে নগ্ন করে ছবি তুলে ও কিল ঘুষি, চড় থাপ্পড়, লাথি, কাঠের বাটাম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে।
তিনি আরো জানান, এক পর্যায়ে আসামিরা ইসমাইলকে প্রাণে মেরে ফেলার এবং নগ্ন ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে আরও ৭৩ হাজার টাকা মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা আদায় করে এবং ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ২০ হাজার টাকা না দিলে নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়।
এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ডিবি অফিসে অভিযোগ দিলে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওইদিনই জেট এল প্লাজায় অবস্থিত মুক্ত টেইলার্স থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলে জানান আকবর আলী মুনসী।