আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) 21 February 2023 , 11:40:35
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় স্কুল, হাইস্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ মিলে ২১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও ১৫৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহিদ মিনার। গত বছর ১৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনার ছিলনা। এ বছর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে নতুন শহিদ মিনার নির্মাণ করলেও এখনো ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় ২১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৯১টিতে। ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৩২টিতে। মাদ্রাসা ২০টি যার মধ্যে শহিদ মিনার নেই একটিতেও। কারিগরি কলেজ ৬টি যার মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৫টিতে এবং জেনারেল কলেজ ৮টি যার মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৫টিতে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, সরকারি ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করার নির্দেশ থাকলে এই ১৫৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার না থাকায় ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পন করতে পারবে না নতুন প্রজন্ম।
যার কারণে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরন করা থেকে। তৃনমুল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার গড়ে না উঠায় গুরত্ব হারাচ্ছে এই দিবসটি। তাই বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে বা ২১শে ফেব্রুয়ারির এই দিনটিতে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারন মানুষ। আবার বাঁশ, কাঠ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে শহিদ মিনার তৈরী করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অনেকেই।
উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিলা রানী দাস বলেন, শহিদ মিনার না থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছে না। সকল প্রতিষ্ঠানে দ্রুত সময়ের মধ্যে শহিদ মিনার নির্মাণের আহ্বান করেন তিনি।
তাড়াশ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার রয়েছে। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয়দের সহায়তায় পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।’
তাড়াশ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মেজবাউল করিম বলেন, ‘ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তাগিদ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করছে। প্রতি বছরে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল থেকে আমরা শহিদ মিনার নির্মান করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ৫ টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।’