আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : 2 May 2023 , 6:57:36
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শত বছরের একদিনের গ্রামীন মেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। গ্রামীন মেলাকে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল নেমেছে। মেলায় নানান বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখোরিত।
মঙ্গলবার (২মে) সকাল থেকে তাড়াশ উপজেলা মাধাইনগর ইউনিয়নের গুড়মা গ্রামে ও তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে মেলা শুরু হয়।
জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা মাধাইনগর ইউনিয়নের গুড়মা গ্রামে ও তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে প্রায় ৩শ’ বছর পুর্বে থেকে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের ৩য় মঙ্গলবার একদিনের জন্য মেলা বসে। আর বড় গুড়মা ও ছোট গুড়মা মেলা নামে দুটি মেলার নামকরণ হয়েছে তখন থেকেই। এই গ্রামীন মেলার মুখরোচক খাবার থেকে শুরু করে খেলনা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, নাগরদোলায় চেপে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলেছিল শিশুর দল। গৃহবধূরাও ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন মেলা প্রাঙ্গনে। ব্যস্ত দিন তাদের কেটেছে কেনাকাটায়।
বড় গুড়মা মেলায় আগত বারুহাস গ্রামের বেসরকারী কোম্পানীর চাকুরীজীবী আকিব হোসেন বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শত বছরের গ্রামীন মেলা বসেছে। যে কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। মেলা উপলক্ষে এলাকার মেয়ে, মেয়ের জামাই ও আত্মীয় স্বজনের নিমন্ত্রণের রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। মেলায় গ্রামীন ঐতিহ্যের জিনিসপত্র, খাবার দাবার পাওয়া যায়। সত্যি বলতে মেলায় আসলে গ্রামের সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।
ব্যবসায়ী দুলাল আহমেদ বলেন, নিমকি, জিলাপি, মন্ডা, মিঠাই, ঝুড়ি ও মুড়কিসহ হরেক রকম খাবার বিক্রি করতে মেলায় এসেছি। প্রতি বছর আসি। আমার বাপ-দাদারাও এ মেলায় আসতেন।
তাড়াশ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, সভ্যতা,সংস্কৃতি আর শেকড়ের টানে সবাই ছুটে এসেছিলেন মেলায়। যে কারণে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছিল উৎসবের আমেজ। মেলা উপলক্ষে এলাকার মেয়ে, জামাই ও আত্মীয় স্বজনের নিমন্ত্রণের রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। এই মেলা চলে আসছে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে।