সৌদি আরবে আগুনে ৯ বাংলাদেশির মৃত্যু

সৌদি আরবের আল আহসা শহরের হুফুফ শিল্পনগর এলাকায় একটি সোফার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নয় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুই বাংলাদেশি। এ ঘটনায় মারা গেছেন ভারতীয় এক নাগরিকও।

নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারার জফির উদ্দিন ছেলে মো. রুবেল হোসাইন, জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে আরিফ, আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার, নাটোরের নলডাঙ্গার মো. দবির উদ্দিন ছেলে মোহাম্মদ উবায়দুল, নওগাঁর আত্রাইয়ের আইজাক প্রামানিকের ছেলে রমজান, রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার, মাদারীপুরের কালকিনির ইউনুস ঢালীর ছেলে জুবায়েত ঢালী এবং সাভারের নগরকুন্দার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। বাকি নিহত ব্যক্তি ভারতীয় বলে জানা গেছে।

অগ্নিকাণ্ডে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশি কর্মী বিপ্লব হোসেন ও মো. জুয়েল হোসেন দূতাবাস প্রতিনিধিকে জানান, একজন ভারতীয় নাগরিকের পরিচালনাধীন সোফা কারখানাটিতে ১৪ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করতেন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে খাওয়া-দাওয়া সেরে কারখানার ওপরের আবাসনে কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ নিচ থেকে আগুন আগুন চিৎকার শুনে তারা দুজন দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। চারদিকে কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারে প্রবেশপথ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তারা অনুমানের ওপর নির্ভর করে সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। কিন্তু অন্যরা বের হতে না পেরে কালো ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান।

অন্য তিন বাংলাদেশি অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানার বাইরে থাকায় ঘটনার শিকার হননি বলেও তারা জানান।

রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইংয়ের প্রথম সচিব ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগুনে ঘটনাস্থলেই সাত বাংলাদেশি নিহত হন। বাকি দুজন কিং ফাহাদ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতদের মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে দু’জন কিং ফাহদ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন এবং নিহতদের মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রেস উইং বলেছে, ‘আগুনের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি এবং আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এছাড়া দূতাবাসের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।’

ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’