জাতীয়

ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হলো দেশের ৫৮ জেলা, ৪৬৪ উপজেলা

  সবুজ আলো ডেস্ক ১১ জুন ২০২৪ , ১০:২০:৪১

সংগৃহীত ছবি

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঈদের উপহার হিসেবে এসব ঘর হস্তান্তর করেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন আরও ৭০টি উপজেলা এবং ২৬টি জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হলো দেশের ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার আগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জুন) কক্সবাজারের ঈদগাঁও, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও ভোলার চর ফ্যাশনের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। এ সময় অন-ওয়েতে যুক্ত থাকবে ১৮৮টি উপজেলা।

এদিন আরও ৭০টি উপজেলা এবং ২৬টি ভূমি-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে মোট ছয় দফায় ৩২টি জেলার সব উপজেলাসহ ৩৯৪টি উপজেলাকে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হলো।

নতুন করে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলাগুলো হলো— ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ।

আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘর দেওয়ায় এখন পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছে। এর মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনের সংখ্যা ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫।

এ ছাড়া হতদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার, দেওয়া হয়েছে সেলাই মেশিনের কাজ। হাঁস-মুরগি, কবুতর পালন ও শাকসবজি উৎপাদনসহ কৃষিকাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী (বর্তমান লক্ষ্মীপুর) জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমি-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ভূমি-গৃহহীন মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে সারা বিশ্বে প্রশংসিত দারিদ্র্য বিমোচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ‘শেখ হাসিনা মডেল।’