খেলাধুলা

সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

  সবুজ আলো ডেস্ক ২৮ জুন ২০২৩ , ১০:৩৮:১৮

ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ বুধবার (২৮ জুন) ভুটানকে হারিয়ে ১৪ বছর পর সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল।২০০৯ সালের পর আর সেমিতে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।

বুধবার (২৮ জুন) বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের হয়ে একটি করে গোল দিয়েছেন শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন। অপর গোলটি এসেছে আত্মঘাতীর সুবাদে। ভুটানের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন তিসেন্দা দর্জি।

বাংলাদেশ ভুটানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় ফাইনালের টিকেট পেতে ১ জুলাই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ কুয়েতের মোকাবেলা করবে। অন্য সেমিফাইনালে ভারতের মোকাবেলা করবে লেবাননের।‘বি’ গ্রুপ থেকে লেবানন তিন ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট অর্জন করে গ্রুপ সেরা হয়েছে। বাংলাদেশ তিন ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট অর্জন করে গ্রুপ রানার্স আপ হয়েছে।

লেবানন এদিন মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশের সেমির সমীকরণ অনেকটা সহজ করে দেয়। ভুটানের বিপক্ষে ড্র করলেই চলত জামাল ভূঁইয়াদের। এমনকি এক গোলের ব্যবধানে হারলেও লক্ষ্য পূরণ হতো।

 

প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও ভুটানেরও সেমির সম্ভাবনা জিইয়ে ছিল। তবে সে ক্ষেত্রে বড় ব্যবধানে হারাতো হতো বাংলাদেশকে। ম্যাচের শুরুতে তারা এগিয়েও যায়। কিন্তু সেই গোলটা যেন মৌচাকে ঢিল ছোঁড়ার মতো হয়ে এলো দলটির জন্য।

শেখ মোরসালিন এবং রাকিব হোসেন দারুণ দুই গোল করেন দ্রুতই। মাঝে বাংলাদেশ আরও একটি পায় আত্মঘাতী থেকে। সুবাদে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ে মধ্যে ম্যাচে এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে।

সাফে বাংলাদেশের সাফল্য আসে ২০০৩ সালে। এরপর ২০০৫ সালে শেষবারের মতো ফাইনালে খেলা। একসময় সাফ মানেই ছিল বাংলাদেশ ফেভারিট। আর এখন তারা দ্বিতীয় সারির দল। ১৯৯৩ সালে সার্ক ফুটবল নামে শুরু এ আসরটি পরে সাফ ফুটবল নাম ধারণ করে। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ অংশ নেয়নি। ১৯৯৫ সালে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে সেমিতে টাইব্রেকারে হেরে বিদায়। সাফ ফুটবলে প্রথম ফাইনালে খেলা ১৯৯৯ সালে। আর প্রথম ও একমাত্র ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব ২০০৩ সালে। ১৯৯৭, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সাফে কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। গ্রুপে দুই জয় ২০১৮, ২০০৯, ২০০৫ ও ২০০৩ এ। এছাড়া ১৯৯৭, ২০০৮, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে তারা গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ । এবার’এ’ গ্রুপ থেকে স্বাগতিক ভারত এবং কুয়েত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। তিন ম্যাচ থেকে ভারত এবং কুয়েত ৭ পয়েন্ট করে অর্জন করে। গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় কুয়েত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। স্বাগতিক ভারত গ্রুপ রানার আপ হয়েছে।