আন্তর্জাতিক

হারিয়েই গেলেন নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের পর্যটকরা : ওশেনগেট

  নিউজ ডেস্ক ২৩ জুন ২০২৩ , ৮:২৯:৪৪

ছবি : সংগৃহীত

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যে পর্যটকরা টাইটানে চেপেছিলেন, তারা কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছেন সাবমেনির পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ওশেনগেট’।

টাইটানের ক্যাপসুলে ছিলেন পাঁচ পর্যটক, যার মধ্যে ওশেনগেইটের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ (৬১) রয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন- ব্রিটিশ ধনকুবের, বিমান সংস্থা অ্যাকশন এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হামিশ হার্ডিং (৫৮), পাকিস্তানের এংরো করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদা দাউদ (৪৮)ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ফরাসি পর্যটক পল অঁরি নারজিলে (৭৭)।

হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ডুবোযানটিতে সংরক্ষিত অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। ফলে তাদের বেঁচে থাকার আশা আর করা হচ্ছে না।

এদিকে,কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হরাইজন আর্কটিকের একটি রিমোট অপারেটেড ভেহিকল তথা রোভ টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছেই সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে।

এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের জানান, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছেই ডুবোযানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পান তারা। সেখানে টাইটানের পাঁচটি বড় অংশ পাওয়া যায়। আর এসব অংশ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পানির নিচে যাওয়ার পর এতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়েছিল।

এদিকে টাইটানে থাকা পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদের ও তাঁর ছেলে সুলেমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম সংস্থা এনগ্রো কর্পোরেশন লিমিটেড। এ কোম্পানিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বরত ছিলেন শাহজাদা।

এদিকে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিংয়ের (৫৮) প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক অ্যাভিয়েশন সংস্থা অ্যাকশন অ্যাভিয়েশনও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
এছাড়া এক বিবৃতিতে সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেটের (৭৭) পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা তাঁকে আজকে, প্রতিদিন ও বাকি জীবন মিস করব।

প্রসঙ্গত, ১৯১২ সালে পর্যটকবাহী জাহাজ টাইটানিক ডুবে যায়। যার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে। যেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ১২৩ ফুট গভীরে পড়ে আছে। সেটি দেখতে মার্কিন কোম্পানি ওশানগেটের সাবমেরিন টাইটানে চেপে রোববার কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড প্রদেশের সেন্টজন শহর থেকে রওনা হন ওই পাঁচ পর্যটক। এই অভিযানে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক অভিযাত্রীর মাথাপিছু খরচ হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।