খেলাধুলা

আফগানদের কাছে টাইগারদের সিরিজ হার

  সবুজ আলো ডেস্ক ৮ জুলাই ২০২৩ , ১০:৪১:৪৮

ছবি : সংগৃহীত

প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বৃষ্টি আইনে মাত্র ১৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবুও সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও আফগানদের কাছে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই রীতিমত ধরাশায়ী টাইগাররা।  আর তাতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারল স্বাগতিকরা।

হাই-স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মুশফিক-মিরাজের প্রতিরোধ ব্যবধান কমিয়েছে কেবল। কিন্তু হার এড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে ১৪২ রানের বড় জয় নিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করল সফরকারীরা। এদিন শুরুতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩১ রান করে আফগানরা। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ১৮৯ রানে।

৩৩২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ২৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ৭২ রানের মাথায় হারিয়ে বসে ষষ্ঠ উইকেট। মূলত তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে টাইগাররা। নাঈম ৯, লিটন ১৩, শান্ত ১, হৃদয় ১৬, সাকিব ২৫ ও আফিফ শূন্যরানে আউট হন।

সপ্তম উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। তাতে ব্যবধানটাই কমেছে কেবল। ৪৮ বলে ২৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন মিরাজ। এদিকে আপনতালে খেলতে থাকা মুশফিক ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন। আউট হন ৬৯ রানে।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন টাইগার দলনেতা লিটন কুমার দাস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে সফরকারীরা। টাইগার বোলারদের শাসন করে যান দুই আফগান ওপেনার। এরমধ্যে শতক পূর্ণ করেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। একই পথে রয়েছেন ইব্রাহিম জাদরানও।

এই দুই ব্যাটার আফগানিস্তানের পক্ষে প্রথম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল জাভেদ আহমেদী ও করিম সাদিকের। দুজন মিলে গড়েছিলেন ১৪২ রানের জুটি।

অবশেষে ওপেনিং জুটি ভেঙেছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ওপেনিং জুটিকে আসে ২৫৬ রান। নিজের শতক পূরণ করা গুরবাজ থেমেছেন ১৪৫ রানে। মাত্র ১২৫ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ১৩টি চার ও আটটি ছয়ে সাজানো।

এরপর ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শহিদী। দুজনই ফেরেন ২ রান করেন। নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। এদিকে গুরবাজের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানও। ১১৯ বলে ১০০ রানে আউট হন এই ব্যাটার।

এরপর মোহাম্মদ নবি ছাড়া ক্রিজে টিকতে পারেননি কেউই। ২০ রানে অপরাজিত থাকেন নবি। এছাড়া রশিদ খান ৬, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২ ও মুজিব উর রহমান বরেন ৫ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া একটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন ইবাদত হোসেন।

দ্বিতীয় ওয়ানডের সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪৩.২ ওভারে ১৮৯ (মোস্তাফিজ ৭*; মুশফিক ৬৯, হাসান ৪, মিরাজ ২৪, আফিফ ০, সাকিব ২৫, হৃদয় ১৬, নাঈম ৯, শান্ত ১, লিটন ১৩)

আফগানিস্তান ৫০ ওভারে ৩৩১/৯ (মোহাম্মদ নবী ২৫*; ফারুকী ১, মুজিব ৫, ওমরজাই ২, রশিদ ৬, ইব্রাহিম ১০০, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৪৫, রহমত শাহ ২, হাশমতউল্লাহ শহীদী ২, নাজিবউল্লাহ জাদরান ১০)

ফল: আফগানিস্তান ১৪২ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ১৪৫ রান।

বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদী (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, নাজিবউল্লাহ জাদরান, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ সেলিম।