গাছে ঝুলছিল শিশু সন্তান, গোয়াল ঘরে পড়ে ছিল মায়ের মরদেহ

পাবনার চাটমোহরে মা ও শিশু সন্তানকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় গোয়াল ঘর থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় মায়ের মরদেহ এবং পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর ছেলে সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে তাদের হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন– দিঘুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী লাবনী খাতুন (৩৫) ও রিয়াদ হোসেন (৮)। রশিদ দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফৈলজানা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‘সকালে মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কে বা কারা তাদের এভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা প্রশাসন ভালো বলতে পারবে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নান্নু বলেন, ‘ওই বাড়িতে ওই নারী তাঁর শিশু ছেলে ও শ্বাশুরি বসবাস করতেন। তাদের একটি মেয়ে আছে ১৪ বছর বয়সী। বাড়ির পাশে একটা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ে, তাই রাতেও সে সেখানেই থাকে। বাড়ির ভবন তৈরি কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ হয়তো টাকা পয়সা চুরি বা ডাকাতি করতে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। গৃহবধূর মরদেহ গোয়াল ঘরে পড়েছিল এবং ছেলেটির মরদেহ পুকুরের পাশের এক গাছে ঝুলছিল।’

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম গণমাধ্যমে বলেন, মা-শিশু সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারা, কেন ও কীভাবে হত্যা করেছে, এটা বের করতে আমাদের সময় লাগবে। এরই মধ্যে কিছু ক্লু আমরা পেয়েছি। সেই ক্লু ধরেই তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পারব।