কৃষি

তাড়াশে খরার কবলে আউস-আমনের আবাদ

  আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) : ১৬ জুন ২০২৩ , ৫:০১:১৭

খরার কবলে পড়েছে চলনবিল অধ্যাুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা বৃষ্টিনির্ভর আউস ও বোনা আমন ধান। চলতি মৌসুমে খরায় আমনের আবাদ নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন চাষিরা। বোনা আমন চাষের ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির অভাবে ও টানা তাপদাহে পুড়ছে ধানের চারা।

তাড়াশ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বর্ষা মৌসুমের প্রথম মাস আষাঢ়ে এখনো অঝোর ধারার বৃষ্টিপাত হয়নি। তার ওপর কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে খরা বিরাজ করছে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করায় প্রচন্ড তাপদাহে মাঠ-ঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়, তবু নেই বৃষ্টি। কয়েকদিন ধরে খরতাপে পুড়ছে চলনবিলাঞ্চল । উঁচু জমিতে পানি না থাকায় বড় গৃহস্থরা সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি দিলেও করলেও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা বৃষ্টিনির্ভর আমন আবাদে বৃষ্টির অপেক্ষাতেই বসে আছেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তাড়াশ উপজেলা বোনা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২হাজার ৫শ’ হেক্টর। কিন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে বোনা আমনের আবাদ হয়েছে। অপরদিকে আউস ধানের আবাদ হয়েছে ৩হাজার ৫শ’ হেক্টর ।লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩হাজার হেক্টর জমি।

উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের শিলনদহ গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবছর বৃষ্টির দেখাই মিলছেনা। তাই আউস ও বোনা আমন ধান বাড়ছে না। আবার কোন জমির ধান পুড়ে যাচ্ছে। তাই ধান বাচাতে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে জমিতে পানি দেয়া হচ্ছে। এতে খরচ হবে বাড়তি।

মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াসিন গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, এবছর খরার কবলে আমাদের আউস ধানের আবাদ অনেকটা ব্যহত হচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলে কিছুটা স্বাভাবিক হবে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে বোনা আমন ও আউসের একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত হলে ধান ভাল হবে। এখন তাপদাহর কারনে ধান বড় হচ্ছে না।